মোঃ উজ্জ্বল হোসেন বিল্লাল, স্টাফ রিপোর্টার।।
রাস্তা ঘাট, কালভার্ট কিংবা বাঁধ সবকিছুতেই উন্নয়নের চিত্র দৃশ্যমান।এযেনো উন্নয়নের বিপ্লব। যা কিনা অন্য ইউনিয়ন গুলোর জন্য রোলমডেল। বলছিলাম কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১নং কাশিনগর ইউনিয়নের কথা। যার হাতে এই ইউনিয়নের উন্নয়ন, সরকারি বরাদ্দ বা নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে যাচ্ছেন ইউনিয়নের তৃণমুলের উন্নয়ন ও অবকাঠামো বিনির্মাণে, তিনি সাবেক রেলপথ মন্ত্রীর একান্ত আস্থাভাজন কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সফল জনন্দিত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে পর্যায়ক্রমে দেশের প্রায় নয় লাখ ভূমি ও গৃহহীন অসহায় পরিবার বসবাসের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাচ্ছেন পাকা ঘর। গুচ্ছগ্রাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ তিন সংস্থার সমন্বয়ে, জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, নির্বাচিত অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং সুধিজনের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাস্কফোর্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার কাজ চলতেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে পাকা ঘর নির্মাণ কাজ চলতেছে।অনেক উপজেলার ইউনিয়নে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বাড়ি ঘর নেই তাদের কেউ কেউ পরিবার নিয়ে থাকা শুরু করেছে। সরকারের দেওয়া এমন ঘরে থাকতে পেরে হাসি ফুটতেছে ভূমি নেই এমন পরিবারের সদস্যদের।প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ১ নং কাশিনগর ইউনিয়নে নির্মাণকরে দেওয়া হয়েছে ৩৮ টি সরকারি ঘর।সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় কাশিনগর ইউনিয়ন এর ধর্মপুর ৭ নং ওয়ার্ড ১১টি , ৮ নং ওয়ার্ড হিলালনগরের( মোড়েবাড়িতে) ১১টি,হিলালনগরের (কোনারবাড়িতে) ৪ টি ঘর সহ মোট ৩৮ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
হিলালনগর সরকারী ঘরের বাসিন্দা হাসান বলেন আমার আগে থাকার মতো জায়গা ছিল না। নদীর পাড়ে কোনোরকম রাত কাটাতাম। সবসময় নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতাম। আমাদের ১নংকাশিনগর ইউনিয়নের মোশারফ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমি এখন সরকারি ঘরের একজন বাসিন্দা। ওনি অত্র ইউনিয়নের অনেক ভূমিহীন মানুষের জন্য সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা এখানে সবরকমের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি। চেয়ারম্যান এর উপর অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। গরীর দুঃখী মানুুষের সেবা করার জন্য আগামী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় দেখতে চাই।
ধর্মপুর সরকারি ঘরের একজন নারী বাসিন্দা বলেন আমাদেরকে রাস্তা থেকে তুলে এনে সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য মোশারফ চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি সবমসময় আমাদের মত ভূমিহীন মানুষদের নিয়ে চিন্তা করেন। মাঝে মাঝে আমাদেরকে এসে দেখে যান। আমরা চাই উনি যেন সবসময় গরীব দুঃখী মানুষের করে যেতে পারে।
গুচ্ছগ্রাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তত্ব অনুযায়ী জানাযায় বাংলাদেশে বর্তমানে ঘর এবং জমি নেই এমন পরিবারের সংখ্যা দুই লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১ জন। অপরদিকে জমি আছে, ঘর নেই এমন পরিবারের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ২৬১টি। সর্বমোট আট লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারকে পর্যায়ক্রমে বাসস্থান নির্মাণ করে দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। দুই শতক জমির ওপরে নির্মিত প্রতিটা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘরের সঙ্গে একটি রান্নাঘর, একটি সংযুক্ত টয়লেট ও ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা রাখা হয়েছে। ভূমিহীন যারা রয়েছে তাদের দুই শতক ঘরের জমির মালিকানাও দেওয়া হয়।
১ নং কাশিনগর ইউনিয়নে সরকারী ঘর ছাড়াও এলাকার রাস্তা ঘাট,ব্রিজ,পুল কালভার্টের মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে গরীব দুঃখী মানুষের আস্থা ভালোবাসা অর্জন করেছেন মোশাররফ চেয়ারম্যান। এছাড়াও কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদকে আধুনিক ইউনিয়ন হিসেবে তৈরি করেছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। SDG বাস্তবায়নের লক্ষে সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করা, যাদের থাকার কোনো যায়গা নেই, ভূমিহীন তাদের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এবং প্রায় দুইলাখের অধিক ঘর প্রদান করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মোশারফ হোসেন তিনটি প্রকল্পে ৩৮ টি ঘর তৈরি করে ৩২টি গৃহহীনদের মাঝে উপহার দেয়া হয়েছে।
যেগুলো সরাসরি চৌদ্দগ্রামের গণমানুষের নেতা সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব তত্বাবধান করেছেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মঞ্জুরুল হকের তত্বাবধানে এই ঘর গুলো তৈরী করা হয়েছে। তিনি বলেন এই আশ্রয়ন প্রকল্পের কারনে অসহায় গৃহহীনদের বাসস্থান হয়েছে তারা প্রাণভরে প্রধানমন্ত্রী ও মুজিবুল হকের জন্য দোয়া করছেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page